Network News
টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ থেকে তড়িৎ-চৌম্বকীয় তরঙ্গের বিকিরণ নিয়ন্ত্রণে নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ আদালত সেলফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিয়ন্ত্রণে যে নির্দেশনা দিয়েছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে নীতিমালার খসড়া প্রস্তুত করেছে কমিশন।
খসড়া নীতিমালায় সেলফোন সেবার টাওয়ারসহ টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশের রেডিয়েশনের সম্ভাব্য ঝুঁকি বিবেচনায় জনসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীর জন্য আলাদাভাবে মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ ছাড়াও এ খাতসংশ্লিষ্ট যেসব পেশাজীবীর ইএমএফের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের জন্য এসব মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তরঙ্গের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩০০ গিগাহার্টজ। টেলিযোগাযোগ যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী, সরবরাহকারী, আমদানিকারক, ট্রান্সমিটারের লাইসেন্সধারী বা মালিকরা নির্ধারিত মাত্রা অনুসরণ করবেন।
আগেই স্থাপন করা টেলিযোগাযোগ টাওয়ারের বিষয়ে নীতিমালাটি প্রকাশ-পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। আর নতুন টাওয়ারের ক্ষেত্রে কার্যক্রম পরিচালনার ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিশনের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়ার পরবর্তী তিন বছরের তথ্য সংরক্ষণ করতে হবে। নীতিমালার কোনো নির্দেশনা লঙ্ঘন হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
No comments